রিয়াজ উদ্দিন, পেকুয়া:
পেকুয়ায় ব্রীজ পারাপারে মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ছড়াপাড়া-সওদাগরহাট সড়কের শিলখালী ইউনিয়নের ফাঁড়িখালের উপর স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত ব্রীজে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত যানবাহন সমুহ চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। প্রধান সড়কের পারাপার ব্রীজের মাঝখানে এ গর্ত হয়েছে। আরসিসি এ ব্রীজের ঢালাইয়ের আস্তর ধসে পড়েছে। এতে করে ছড়াপাড়া- সওদাগরহাট প্রধান সড়কে যাতায়াতে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। যে কোন মুহুর্তে ঝুঁিকপূর্ন ব্রীজটি নদীতে ধসে যেতে পারে। এতে যানচলাচলসহ পারাপারে মারাত্মক দুর্ঘটনার শংকা দেখা দিয়েছে। ছড়ারপাড়া থেকে ওই সড়কটি শিলখালী স্কুল ষ্টেশন হয়ে বারবাকিয়া বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত। এ সড়কটি উপজেলার অন্যতম প্রধান সড়ক। টইটং থেকে এ সড়ক দিয়ে সরাসরি চকরিয়ায় যাতায়াত হয়ে থাকে। বাঁশখালী উপজেলার সাথে পেকুয়া হয়ে এ সড়ক চকরিয়ায় যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। গত ২ বছর আগে সড়কের ওই পয়েন্টে ব্রীজে ধস তৈরী হয়। শিলখালী ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ফাঁড়ি খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি ধসে যায়। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চট্রগ্রাম থেকে সড়কপথে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের প্রয়াত সভাপতি আকম সাহাব উদ্দিন ফরায়েজীর বাসভবনে গিয়েছিলেন। তার পরিবারের সদস্যদের সাথে স্বাক্ষাত করেছিলেন। টইটং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি গ্রাম থেকে তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলেন। এ সড়ক দিয়ে তিনি চকরিয়া হয়ে কক্সবাজার শহরে যান। এ সময় ব্রীজের এ ক্ষতিগ্রস্ত অংশ তিনি সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন। স্থানীয়রা জানায়, ব্রীজের এ গর্তটি মারাত্মক ঝুকিপূর্ন দেখতে পান মন্ত্রী। এ সময় তিনি গাড়ী থেকে নেমে যান। দ্রুত সময়ে এ ঝুঁকিপূর্ন অংশ ও ব্রীজ সংস্কার করতে মন্ত্রীর সাথে থাকা দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তবে গত দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে সড়কের এ অংশে ব্রীজে ঝুঁকিপূর্ন গর্তটি সংষ্কার হয়নি। এমনকি মন্ত্রীর নির্দেশ পেলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ ওই কাজ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়নি। পরিদর্শনে দেখা গেছে শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ ব্রীজটির দুরত্ব আধাকিলোমিটার। ছড়াপাড়া বাজারের উত্তর ও শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিন অংশে ফাঁড়িখাল আরসিসি ব্রীজটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। নদী পয়েন্টে এ ব্রীজের মাঝখানে গোলাকার গর্ত তৈরী হয়েছে। পালাস্তর ঝরে গেছে। লোহার নেট দেখা যাচ্ছে। পায়ে হেঁটে গেলে যে কোন মুহুুর্তে দুর্ঘটনা হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। মাঝখানে গর্ত হওয়ায় একপেশে ব্রীজটি অকার্যকর হয়েছে। একপেশে যানবাহন চলাচল হচ্ছে। একাধিক যানবাহন উভয়পাশ থেকে চলাচল করলে তৈরী হচ্ছে যানজট। শিলখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন সত্যতা স্বীকার করে জানান, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তিনি এ ব্যাপারে অবগত আছেন। তবে ওই ব্রীজের গর্তটি আগামী সপ্তাহের মধ্যে মেরামত করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান।